N/A
একাডেমিক নীতিমালা
১। ছাত্র-ছাত্রীদের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়াবলী
দ্বীপ বন্ধু মুস্তাফিজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়,সন্দ্বীপের একটি স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য সুযোগ্য নাগরিক গড়ে তুলতে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে নিয়ম-শৃংখলার সার্বক্ষণিক অনুশীলন বিশেষভাবে প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সকল প্রকার শৃংখলা পরিপন্থি আচরণ থেকে বিরত থাকতে হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়সমূহ নিলিপিবদ্ধ করা হলোঃ
ক। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য করণীয় বিষয়গুলো হলো-
(১) যথাসময়ে ক্লাসে উপস্থিত হওয়া।
(২) এ্যাসেম্বলির দিন যথাসময়ে এ্যাসেম্বলিতে যোগদান করা।
(৩) ছুটির পর অকারণে ক্যাম্পাসে অবস্থান না করা।
(৪) সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে ক্লাসে আসা (দাঁত মাজা, নখ কাটা, চুল ছোট রাখা, নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত মুখ ধোয়া ইত্যাদি)।
(৫) অফ-পিরিয়ডে/টিফিন পিরিয়ডে সুশৃঙ্খল থাকা ও অযথা হৈ চৈ না করা।
(৬) সহপাঠ কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করা ও উপস্থিত থাকা।
(৭) কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সকল প্রকার পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা/উপস্থিত থাকা।
(৮) লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়া।
(৯) বাড়ীর কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন করা এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে দেখানো।
(১০) ব্যবহারিক ও লাইব্রেরি ক্লাসে উপস্থিত থাকা।
(১১) যথাযথ ইউনিফর্ম পরিধান করে ক্লাসে আসা।
(১২) নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর ০৭ দিনের মধ্যে ইউনিফর্ম তৈরী করা।
(১৩) সব সময় পরিচয়পত্র বহন করা।
(১৪) ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে সহায়তা করা।
(১৫) কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অন্য যে কোন আদেশ পালন করা।
খ। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অবশ্য বর্জনীয় বিষয়গুলো হলো-
(১) ক্লাসে বিলম্বে আসা।
(২) ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা।
(৩) যথাযথ ইউনিফরম পরিধান করে ক্লাসে না আসা।
(৪) ছেলেদের চুল বড় রাখা/কিংবা মাথা ন্যাড়া করা।
(৫) মেয়েদের চুল খোলা রাখা এবং মাথায় দৃষ্টিকটু বা আকর্ষণীয়/রঙচঙে ক্লিপ/ফিতা ব্যবহার করা।
(৬) চুল রং করা, চোখের রং পরিবর্তনের জন্য কসমেটিক লেন্স ব্যবহার করা।
(৭) মেয়েদের ভারী অলংকার, ফ্রেন্ডশীপ বেন্ট, নুপুর, ঝুলন্ত দুল, আংটি, নেইল পালিশ, নখ বড় রাখা, হাতের উপর মেহেদী দেয়া ইত্যাদি।
(৮) খাদ্য বস্তু নিয়ে যত্র তত্র হেঁটে হেঁটে খাওয়া।
(৯) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করা।
(১০) বিনা কারণে ক্লাসে অনুপস্থিত থাকা বা ছুটির পূর্বে বিনা অনুমতিতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করা।
(১১) বিনা অনুমতিতে প্রতিষ্ঠানে বা সহপাঠীর কোন কিছু নেওয়া।
(১২) লাইব্রেরির বইয়ের পাতা বা পত্র-পত্রিকার বিশেষ অংশ কেটে নেয়া/বইয়ের পাতা বা পত্র-পত্রিকায় অশালীন কথা লেখা।
(১৩) প্রতিষ্ঠানের সম্পদ নষ্ট করা।
(১৪) শ্রেণি কক্ষে বা শ্রেণি কক্ষের বাইরে দৃষ্টিকটু আচরণ করা।
(১৫) মোবাইল ফোন সেট, ক্যাসেট, সিডি, লেজার লাইটার, সানগ্লাস, হকিষ্টিক ইত্যাদি বহন করা।
(১৬) ক্যাম্পাসে গাড়ি ও মোটর সাইকেল চালানো।
(১৭) ধুমপান বা এ জাতীয় কোন কিছু সেবন ও অন্যান্য নিষিদ্ধ দ্রব্য গ্রহণ ও বহন করা।
(১৮) ডেক্স, ব্লাকবোর্ড, হোয়াইটবোর্ড, দেওয়াল, বাথরুম দরজা ইত্যাদিতে মন্তব্য লেখা।
(১৯) বড় আকৃতির এবং মিউজিক সংযোজিত হাত ঘড়ি ব্যবহার করা।
(২০) মোজা বিহীন জুতা, গেঞ্জিবিহীন শার্ট পরা বা বিনা কারণে মাথায় ক্যাপ পরা।
(২১) কোমরে বড় আকৃতির বেল্ট ব্যবহার করা।
(২২) অফ/টিফিন পিরিয়ডে ক্যাম্পাসের বাইরে দোকানে গিয়ে টিফিন খাওয়া।
(২৩) শ্রেণিকক্ষ, দেয়াল, বাথরুম প্রভৃতি অকারণে নোংরা করা।
(২৪) সহপাঠীদের সাথে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করা।
(২৫) সিনিয়র শিক্ষার্থীদের সাথে বেয়াদবী করা এবং জুনিয়রদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা।
(২৬) কর্তৃপক্ষ জারিকৃত যে কোন আদেশ অমান্য করা।
2। ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলা ও শাস্তি সংক্রান্ত নীতিমালা
যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম ঐ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলার মানের উপর বহুলাংশে নির্ভর করে। ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি নির্দেশিত শৃঙ্খলাভঙ্গের প্রকৃতি এবং শাস্তির দিক নির্দেশনা লঙ্ঘন শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলে বিবেচিত হবে এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক স্বার্থে যে কোন একটি অপরাধের জন্য ছাত্র-ছাত্রীকে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিস্কার করা যেতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদের শাস্তির ব্যাপারে অধ্যক্ষ একক সিদ্ধান্ত/উপাধ্যক্ষ/শিক্ষকমন্ডলীর সাথে আলাপ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তবে কোন ছাত্র-ছাত্রীকে বহিস্কার করতে হলে অবশ্যই সভাপতির অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। স্কুলে অধ্যয়রনত কোন ছাত্র-ছাত্রী গুরুতর শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য দায়ী হলে যাদেরকে বোর্ড/সরকারি নিয়মে টিসি দেয়া/বহিষ্কার করা সম্ভব নয় তাদেরকে কলেজ শাখায় ভর্তি করা হবে না। ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ ও নির্ধারিত শাস্তি নিচে দেওয়া হলো-
ক্রমিক অপরাধের বিবরণ প্রস্তাবিত শাস্তির ধরণ
১। স্কুল বিলম্বে আসা ও ছুটির পর অকারণে ক্যাম্পাসে অবস্থান করা। সতর্কীকরণ ও ডায়েরীতে নোট দেয়া, প্রয়োজনবোধে শাস্তি বৃদ্ধিকরণ।
২। স্কুল পোশাকে (জুতা, মোজা, বেল্ট, নেমপ্লেট ও ব্যাজ ইত্যাদি) অনিয়ম। লিখিতভাবে সতর্কীকরণ ও অভিভাবককে অবহিতকরণ। লঘু শাস্তি স্বরূপ শ্রেণীর পিছনে কিছু সময় দাঁড় করে রাখা। পুনরাবৃত্তি ঘটলে প্রয়োজনে শাস্তি বৃদ্ধিকরণ।
৩। ছেলেদের চুল বড় রাখা কিংবা ন্যারা করা (অসুস্থতা ছাড়া)। সতর্কীকরণ ও অভিভাবককে অবহিতকরণ। প্রয়োজনবোধে শাস্তি বৃদ্ধিকরণ।
৪। ছাত্রীদের চুল বেণী না করা (যাদের চুল লম্বা) রং বেরংয়ের ক্লিপ, ফিতা পড়া। মৌখিকভাবে সতর্কীকরণ ও ক্লাসের পিছনে দাঁড় করিয়ে রাখা।
৫। চুল রং করা, চোখের রং পরিবর্তনের জন্য লেন্স ব্যবহার করা। লিখিতভাবে সতর্কীকরণ ও অভিভাবককে অবহিতকরণ। প্রয়োজনে শাস্তি বৃদ্ধিকরণ।
৬। নখ বড় রাখা, নেইল পালিশ, লিপষ্টিক, কপালে টিপ ইত্যাদি ব্যবহার করা। ভর্ৎসনা করা, সর্তক করা, অভিভাবককে অবহিতকরা এবং শ্রেণিতে দাঁড় করিয়ে রাখা।
৭। অলংকার, ফ্রেন্ডশীপ বেল্ট, চেইন/বালা, ফিংগার রিং, নুপুর, চুড়ি, ঝুলন্ত দুল ইত্যাদি ব্যবহার করা। সতর্কীকরণ ও ডায়েরীতে নোট দেয়া, প্রয়োজনে শাস্তি বৃদ্ধিকরণ।
৮। ডেস্ক, খাতা, ব্লাকবোর্ড, হোয়াইট বোর্ড, দরজা, দেয়াল,বাথরুম ইত্যাদিতে লেখা। অভিভাবককে অবহিকরণ/প্রয়োজনে শাস্তি বৃদ্ধি/বহিস্কার -এর ব্যবস্থা গ্রহণ।
৯। খাদ্যবস্তু নিয়ে যত্রতত্র হেঁটে হেঁটে খাওয়া। মৌখিকভাবে সতর্কীকরণ, ডায়েরীতে নোট দেয়া, প্রয়োজনে শাস্তি বৃদ্ধিকরণ।
১০। কাগজের টুকরা, ফল বা খাদ্য সামগ্রীর খোসা যত্রতত্র ফেলা। মৌখিকভাবে সতর্কীকরণ ও ডায়েরীতে নোট দেয়া।
১১। ছেলে মেয়েদের মধ্যে অশোভন পত্র লিখন বা বহন করা। সতর্কীকরণ, অভিভাবককে অবহিতকরণ, প্রয়োজনবোধে বহিস্কার।
১২। প্রতিষ্ঠানে থাকাকালে এবং বাসে যাতায়াতের সময় কটুক্তি, অশ্লীল ইঙ্গিত, উচ্চস্বরে চিৎকার, গান গাওয়া, নাচানাচি এবং শার্টের ইন খোলা, বোতাম খোলা। সতর্কীকরণ ও ডায়েরীতে নোট দেয়া বা প্রয়োজন বোধে শাস্তি বৃদ্ধিকরণ/বহিস্কার।
১৩। ক্লাস পালানো অভিভাবককে অবহিতকরণ, শাস্তিবৃদ্ধিকরণ, পুনরাবৃত্তি ঘটলে বহিস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ।
১৪। অফ-পিরিয়ড ও টিফিন পিরিয়ডে লাইব্রেরি, ক্যান্টিন, কমনরুম এবং খেলার মাঠছাড়া অন্যত্র গমন করা। সতর্কীকরণ, অভিভাবককে অবহিতকরণ এবং প্রয়োজনে শাস্তি বৃদ্ধিকরণ।
১৫। অফিসে/বাথরুমে যাবার নাম করে অযথা ঘোরা ফেরা করা বা ক্লাস ফাঁকি দেওয়া। মৌখিকভাবে সতর্কীকরণ, শ্রেণির পিছনের লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা/অভিভাবককে অবহিতকরণ।
3। পরীক্ষা:
পরীক্ষা হচ্ছে ছাত্র ও শিক্ষকের কর্মদক্ষতার মূল্যায়ন। লক্ষণীয় যে কিছু কিছু অভিভাবক ছাত্র-ছাত্রীদের প্রকৃত শিখন দক্ষতা বিবেচনা না করে শ্রেণিতে তাদের ক্রম অবস্থানের (রোল নং) ব্যাপারে বেশি আগ্রহী থাকেন। এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হল ছাত্র-ছাত্রী সামগ্রিকভাবে বা এককভাবে ইস্পিত লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য কতটুকু জ্ঞান অর্জন করল তা নির্ধারণ করা। এই লক্ষ্যে অর্জনের জন্য পরীক্ষা সমূহ নিম্নরূপভাবে গ্রহণ করা হবেঃ
(ক) ছাত্র-ছাত্রীদের অবহিতকরণ:
শুধুমাত্র পাঠ্যসূচি সমাপ্তি করণই পরীক্ষার উদ্দেশ্যে হওয়া উচিৎ নয়। প্রয়োজন বোধে নমুনা প্রশ্ন সরবরাহ করা যেতে পারে। প্রশ্নের সহায়ক শব্দাবলী ছাত্রদের কাছে সুস্পষ্ট হতে হবে। (উদাহারণ স্বরূপ- ব্যাখ্যা, বর্ণনা, সংজ্ঞা, উদাহরণ ইত্যাদি)।
(খ) পরিমার্জনঃ সকল প্রশ্ন, দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষক কর্তৃক পরিমার্জিত হওয়া বাঞ্চনীয়। পরিমার্জক সবশেষে প্রশ্নের ব্যাপারে তার সম্মতি দেবেন (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
(গ) উত্তরপত্রের প্রতিনিয়ত পরীক্ষণঃ
সকল উত্তরপত্র বিষয় শিক্ষক কর্তৃক সার্বিকভাবে চিহ্নিত হতে হবে। উত্তরপত্র সমূহ একইভাবে পরীক্ষিত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সিনিয়র শিক্ষক প্রয়োজনে সর্বোচ্চ, সর্বনিম্ন ও গড় নম্বর প্রাপ্ত কয়েকটি উত্তরপত্র চেক করবেন। বড় ধরনের কোন অসামঞ্জস্যতা দেখাগেলে সহকারী প্রধান শিক্ষক/উপধ্যক্ষ অধ্যক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
৩। ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও ৯ম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ বন্টনের নীতিমালা।
ক। উত্তীর্ণের নীতিমালা । ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষায় উত্তীর্ণের নীতিমালা নিম্নরূপ:
(১) কোন ছাত্র-ছাত্রী ( (৬ষ্ঠ-৯ম) শ্রেণির ক্ষেত্রে উভয় পরীক্ষায় গড়ে ৪৫% পাস নম্বর না পেলে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের জন্য বিবেচিত হবে না ।
(২) কোন ছাত্র-ছাত্রী দুর্ঘটনাজনিত কারণে অথবা মারাত্মক অসুস্থতায় চিকিৎসাধীন থাকলে ডাক্তারি সনদপত্রসহ
প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। তবে পুন:পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে না।
(৩) শিক্ষার্থী যদি ০২ (দুই) পর্বের গড়ে ০১ (এক) বিষয়ে অকৃতকার্য হয় এবং চুড়ান্ত পর্ব পরীক্ষায় সকল বিষয়ে কৃতকার্য হয় তবে তাকে পরবর্তী শ্রেণিতে বিশেষ বিবেচনায় উত্তীর্ণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে মেধা তালিকায় কোন স্থান দেয়া হবে না।
(৪) শিক্ষার্থী যদি ০২ (দুই) পর্বের গড়ে ০২ (দুই) বিষয়ে অকৃতকার্য হয় এবং চূড়ান্ত পর্ব পরীক্ষায় সকল বিষয়ে পাস করে তবে তাকে একই ক্লাসে রাখা যেতে পারে।
(৫) কেহ যদি চুড়ান্ত পর্ব পরীক্ষায় ০১ (এক) বিষয়ে অকৃতকার্য হয় এবং ০২ (দুই) পর্বের গড়ে ০২ (দুই) বা
ততোধিক বিষয়ে অকৃতকার্য হয় তবে তাকে বাধ্যতামূলক টিসি দেওয়া হবে।
(৬) এসএসসি/এইচএসসি নির্বাচনী পরীক্ষায় কোন ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা বোর্ডের নিয়মানুযায়ী পাস নম্বর পেতে ব্যর্থ হলে চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের নিমিত্তে ফরম-ফিলাপের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
(৭) বিবেচনায় উত্তীর্ণ কোন ছাত্র-ছাত্রী মেধা তালিকায় স্থান পাবে না।
(৮) উপরোক্ত নীতিমালার বাইরে যদি কাউকে প্রমোশন দিতে হয় সে ক্ষেত্রে অভিভাবকের আবেদনের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষের সুপারিশের ভিত্তিতে সভাপতি বিশেষ বিবেচনায় প্রমোশন দিতে পারবেন।
খ। বিজ্ঞান বিভাগ নির্বাচন নীতিমালা। ৯ম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগ প্রাপ্তির বিষয় নিম্নরূপভাবে নির্ধারিত হবে :
(১) শিক্ষার্থীকে জেএসসি পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৪.৮৬ থাকতে হবে।
(২) গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পৃথক পৃথকভাবে জিপি-৫ এবং ইংরেজিতে ন্যূনতম জিপি ৪.০০ থাকতে হবে।
(৩) উল্লেখিত নিয়মের ব্যতিক্রম হলে প্রধান শিক্ষকের সুপারিশের ভিত্তিতে সভাপতির অনুমোদন সাপেক্ষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।